১৪ এপ্রি, ২০১১

২২ নভেম্বর, গোপন রহস্য উদ্ধার : হামিদা রহমান


ধারেকাছে নয় সুদূর থেকে তারে ভেসে আসে অভিপ্রায়ের সুখ। সুখটা যদি গায়ে মাখা যেত... যদি বন্দি করা যেত সিন্দুকে। আমার বসবাস অন্যগোলার্ধে, প্রতিক্ষীত দিনটি আসতে আরো তেরো ঘন্টা বাকি। এই তেরো ঘন্টায় অনেক কিছু হতে পারে...। উদযাপনের মূল্যবান সময়ের ধাক্কায় পিছনে ছুটি জিইসির মোড়, লালখান বাজার, জিলাপি পাহাড়সহ সাঁতার কাটি পতেঙ্গার উত্তাল সাগরে। ভাবি এবেলায় হোক ভাগাভাগি, মুক্তির হিসেব-নিকেশ; একটু সান্ধ্যসঙ্গমে চোখ বুজি মনে মনে

ঠাণ্ডা হানা দিয়েছে শহরে। বাইরে মিষ্টি রোদেও হাত-পা গুটিয়ে আসে। এই শহরের কত রূপ, কত জাতি, কত সংস্কৃতির লোক বাস করে, সবাই কি সুখী? সে ভাবনা মনের দ্বৈত বসবাস। মনে মনে হাঁটি আমার প্রিয় শহরে আর পা ফেলি অন্যশহরে। আবেগ জমানো সুখ ঢাকি, মুখ লুকিয়ে অনিচ্ছায় আবারও ঠাণ্ডা হাওয়ায় মিশে যাই

অনেক পর্যবেক্ষণের পর দিগন্তে জমে থাকা ধোঁয়ায় উপহারের অধিক গুরুত্বে স্নাত হই আরেকবার। সে এক অসাধারণ মহৌষধ; মোক্ষম সময়ের ফিতা টেনে টেনে এর দৈর্ঘ্যে কাগজের লেপ, টুপিতে নিজেকে আবরণ করে একটি উদগত রাতযাপনের প্রতীক্ষায় থাকি। প্রতিটি মোহ কেমন আনন্দ তা আরেকবার টানি, বারবার মনে হয় উপলব্ধিতে বোবা দৃষ্টি...

ভুলে নয়, মাঝে-সাঝে ভাবি দিন শেষে লেটারবক্সে জমে থাকা বিল আর বাণিজ্যিক পোষ্টার তুলে আনবো। আজও সান্ধ্যসঙ্গমে এগারো ধাপ সিঁড়ি পার হয়ে লেটারবক্সে হাত পড়তে কড়কড় শব্দে বেরিয়ে এলো একখানা শক্ত বাক্স। প্রেরকের ঠিকানা অতিখুদ্রাক্ষরে কারুকাজে লেখা। প্যাকেটটি হাতে নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নাম উদ্ধারের ব্যর্থতায় খামটা খুলতে বেশ তালগোল পাকিয়ে আর সময় ক্ষেপণ না করে যত্নে করে পাশ কেটে টেনে বের করি গোপনরহস্য... ভিতরে বিশেষ তরিকায় আরো কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে রঙিন শক্তকাগজ টেনে নিজেকে উদ্ধার করি...

হামিদা রহমান
নেশা: পড়া ও লেখা 










[ ১ম পাতায় ফেরত ]

1 টি মন্তব্য:

সৈয়দ আফসার বলেছেন...

আপা,
নববর্ষের শুভেচ্ছা।